শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
প্রকাশিত: রবিবার, মার্চ ৫, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে উদ্ধারকাজ।
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত কারখানায় হতাহত ব্যক্তিদের খোঁজে দ্বিতীয় দিনের মতো রবিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
আজ রবিবার সকাল সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনের সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। সকাল নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে আগ্রাবাদ স্টেশনের আরও একটি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বিস্ফোরণে পুরো অক্সিজেন কারখানাটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এলোমেলো অবস্থায় সিলিন্ডার পড়ে আছে। তাঁর ধারণা, সিলিন্ডারের নিচে আরও হতাহত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। তাই তাঁরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছেন।
এদিকে মালিকপক্ষের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। মালিকপক্ষের সহযোগিতা ছাড়া সিলিন্ডারগুলোর নিচে কোন লোক থাকতে পারে কিনা সে ব্যাপারে কোন পূর্ব ধারণা পারছেনা উদ্ধার কাজে নিয়োজিত সদস্যরা।
এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃতদেহ এবং ৩০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা স্টেশনের সদস্যরা ওয়ার্কিং প্রোগ্রেস নামের একটি সেফটি ট্যাপ দিয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেছেন উদ্ধারকারী সদস্যরা সিলিন্ডার একটা একটা করে সরানোর চেষ্টা করছেন। ভেতরে থাকা সিলিন্ডারগুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। সেখানে থাকা পাঁচটি ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে আছে। আশপাশের ভবনগুলো একেবারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীমা অক্সিজেন লিমিটেড কারখানায় শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের সময় গতকাল শনিবার বিকেলে বিকট শব্দে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়।
বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা। বিচ্ছিন্ন লোহার টুকরা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত।