শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: সোমবার, মে ১০, ২০২১
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩২৩ সন্ত্রাসীর হালনাগাদ তালিকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নাম অন্তর্ভূক্ত করাকে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়নি, বরং পুলিশ যে দলীয় সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তা নতুন করে প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা।
সোমবার এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আবুল হাশেম বক্কর একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উঠে আসা আবুল হাশেম বক্কর কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং পরবর্তিতে সফলতার সাথে মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই করোনাকালে তিনি অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী। সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে জড়িত এমন একজন পরিছন্ন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করা বিস্ময়কর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সিএমপির সন্ত্রাসীদের কোনো তালিকা করেনি, বিএনপিসহ বিরোধী মত দমনের তালিকা করেছে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আজ চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে তারা আজ সাধারণ মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সরকারি দলের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় পাড়ায়-পাড়ায় তৈরি হয়েছে কিশোর গ্যাং কালচার। তাদের কারণে চট্টগ্রাম শহরসহ সারাদেশ আজ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। একদিকে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, চাঁদাবাজি, আরেকদিকে পুলিশের গ্রেফতার নির্যাতন, মামলা-হামলা। প্রহসনের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অনেক কাউন্সিলরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আমরা পত্রিকায় দেখেছি। তাদের অনেককে পত্রিকায় সন্ত্রাসের গডফাদার বলা হয়েছে। অথচ সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের বাদ দিয়ে সিএমপি বিএনপির ত্যাগী নেতা আবুল হাশেম বক্কর সহ যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নাম সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে প্রমাণ হয়, পুলিশ আজ আর জনগণের সেবক নয়, তারা আজ একটি অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদি সরকারের দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জুলুমবাজ সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপদানের জন্য করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার নির্যাতন চালাচ্ছে। লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেনকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। আবুল হাশেম বক্করের বিরুদ্ধেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার ক্ষান্ত হয়নি, এবার তাকে সন্ত্রাসী তালিকায় ঢুকিয়ে হয়রানির নতুন কায়দা শুরু করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে জননন্দিত নেতা আবুল হাশেম বক্করের সম্মানহানিরও প্রতিবাদ করছি।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আবুল হাশেম বক্কর সহ নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।