বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
প্রকাশিত: রবিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২১
মো. ইমরান হোসেন, সীতাকুণ্ড:
নভেল করোনাভাইরাস চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে। এতে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখানেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭০৩ জন। সুস্থ হয়েছে ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬৭৪ জন, আর মৃত্যু বরণ করছে ১০ হাজার ৮৬৯ জন।
গত ২৭শে জানুয়ারি ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা ভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সারা বাংলাদেশের উপজেলা এবং জেলা শহরে প্রতিটা মানুষের টিকা নেওয়া শুরু করে।
এখন পর্যন্ত পুরো বাংলাদেশের উপজেলা গুলোর মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলাটি করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে অবস্থান করছেন। এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৭ হাজার ৪২৯ জন মানুষ প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে। একই সাথে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে উপজেলার প্রায় ১১ হাজার ৪২৯ জন। যা পুরো বাংলাদেশের উপজেলা গুলো ভিত্তিক সর্বাধিক।
গত ৭ই ফেব্রুয়ারী সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম। এবং গত ৮ এপ্রিল করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিনি।
এছাড়া টিকা নিয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এল আল মামুন, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আল বাকের ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়, সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সেকান্দর হোসেন, বিএনপি নেতা কাজী সালাউদ্দিন সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য মতে এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৫৭ জন তার মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৫৯৫ জন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পুলিশ সহ মৃত্যু বরণ করেন ২০ জন।
গত কাল টিকা নিতে আসা কয়েক জনের সাথে কথা বল্লে তারা জানান প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তেমন কোন প্রার্শ্ব প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করেনি। তারা সকলে টিকা নেওয়ার পর সুস্থ আছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা নাহিদা আক্তার জানান প্রথম ডোজ নেওয়ার পর সামান জ্বর হয় তার এছাড়া কোন ধরনের সমস্যা তার হয়নি।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ জানান, করোনা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে উপজেলার গুলোর মধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলা পুরো বাংলাদেশের মধ্যে এক নাম্বারে রয়েছে। চট্রগ্রাম সিভিল সার্জন ফলজে রাব্বি স্যারে দিকনির্দেশনায় সাধারণ মানুষকে টিকা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছি। এবং সাধারণ মানুষ আনন্দের সাথে টিকা নিচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ম্যাক্স ব্যবহার সহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য সব রকম নির্দেশনা দিচ্ছি। করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি হট লাইন নাম্বারে ২৪ ঘন্টা সেবা দিচ্ছি। যারা এখনো করোনা টিকা গ্রহন করেনি দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন এর মাধ্যমে করোনা টিকা গ্রহনের অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।