বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
প্রকাশিত: শুক্রবার, আগস্ট ৫, ২০২২
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
পেকুয়ায় মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই মামলায় দুই বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটি করেন উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া নূরীর পাড়া এলাকার মৃত মৌলভী নুরুল হকের পুত্র মুমিনুল হক রোকন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায়।
এ মামলায় উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, ২১ জুলাই দুপুর ২ টায় বাদী মুমিনুল হক রোকন পেকুয়া বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করে বাড়ী ফেরার পথে উজানটিয়ার গোদারপাড় স্টেশনে কলিমের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা বিবাদীরা তাকে গতিরোধ করে। তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার কোমরে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা ও একটি ১২ হাজার টাকা দামের স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত রোকন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দেয়। পেকুয়া থানার ওসি এজাহার আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করে। যার নং০১/২২ ইং। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ওই এলাকার মৃত রোকন উদ্দিনের পুত্র কাফি, জয় এবং কফিল উদ্দিনের পুত্র আরফাত।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, মুমিনুল হক রোকন গত ১৯ জুলাই স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মৌলভী নুরুল আলমকে আযান দেওয়া এবং তার পিছনে নামাজ না পড়া নিয়ে গালমন্দ করে। মোয়াজ্জিন প্রতিবাদ করলে এক পযার্যে মারধর করে রোকন।
বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে মোয়াজ্জিন অবগত করে এবং মুমিনুল হক রোকনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়।
এরপর ২১ জুলাই গোদারপাড় স্টেশনের কলিমের চায়ের দোকানে মোয়াজ্জিনের সাথে ঘটনার বিষয়টি নিয়ে আরফাতের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় শহিদ চেয়ারম্যান এসে দুইজনকে বকা দিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দেয়।
উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মামলার আসামী এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মোয়াজ্জিনের ঘটনা নিয়ে ওসির সাথে কথা হয়েছে এবং তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
এরপর শুনি আমার বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলার জন্য এজাহার জমা দিয়েছে তখনই ওসি সাহেবকে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি দেখতেছি বলেই একটি মামলা রেকর্ড করে নিলেন। এটি সম্পন্ন ষড়যন্ত্র মূলক মামলা। আমি আইনগত পদক্ষেপ নিবো বলেন সাবেক এই চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলীর মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।