বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
প্রকাশিত: শনিবার, এপ্রিল ১০, ২০২১
ভুল চিকিৎসায় এক ব্যাক্তিকে মেরে ফেলার অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও চিকিৎসক ডা. আবদুল মোতালিবকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ করা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজাদের পরিবার। আজাদের পরিবার ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং দোষিদের আইনের আওতায় আনার দাবি এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আজাদ চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী গ্রামের ঐতিহ্যবাহী জমিদার পরিবারের মরহুম ছালেহ্ আহমদ চৌধুরীর পুত্র।
চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি নিজাম উদ্দিন চৌধুরী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেট্রোপলিটন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। গত ১ মার্চ আজাদের পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মারুফ মো. নাজেবুল আলম এই নোটিশ দেন।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি নিজাম উদ্দিন আহমদ চৌধুরী অসুস্থ হলে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয। সেখানে চিকিৎসক ডা. আব্দুল মোত্তালিব আজাদের চিকিৎসা শুরু করেন। ভর্তি হওয়ার পরেরদিন ২৩ জানুয়ারি আজাদের পিঠে ও হাতে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব হলে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সি.সি.ইউ ইউনিটে ভর্তি করান। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে সিসিইউ থেকে ৩১২ নং কেবিনে পাঠানো হয়।
মৃত আজাদের ভাই অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী লিপু অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মেট্রোপলিটন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবদুল মোত্তালিব হার্টের অবস্থা ভালো নয় জানিয়ে এনজিওগ্রাম করার জন্য হাসপাতালের একাউন্ট শাখায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা দিতে বলেন। আমরা তার কথা মতো টাকা জমা করি। টাকা জমা দেওয়ার পর ডা. আবদুল মোত্তালিব ক্যাথল্যাবে বাম হাতের রগ কেটে রিং লাগানোর পর সিসিইউতে পাঠিয়ে দেন। একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় ডা. মোত্তিলিব জানান, রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন, পুনরায় এনজিওগ্রাম করতে হবে। তিনি বাম পায়ের রানের গোড়ালি দিয়ে এনজিওগ্রাম করে ক্ষতবিক্ষত করলে প্রচণ্ড রক্তপাত শুরু হয়। এতে করে দুপুর একটার দিকে তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর পর চিকিৎসাপত্র নিয়ে তিনি একাধিক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে জানতে পারি একমাত্র ফেলোশিপ ইন্টার ভেনশন সম্পন্ন করা চিকিৎসক ছাড়া কেউ এ রিং পরাতে পারেন না। অথচ মেট্রোপলিটন হাসপাতালে অর্থ লোভে ‘ফেলোশিপ ইন্টার ভেনশন’বিহীন অনভিজ্ঞ চিকিৎসকরাই হার্টের রিং পরাচ্ছে, আর তার খেসারত আমাদের দিতে হচ্ছে। তাদের ভুল চিকিৎসা ও অজ্ঞতার কারণে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এনজিও গ্রাম ও রিং পরাতে অধিক টাকা নিয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. আবদুল মোত্তালিবের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।