সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: শুক্রবার, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
চবি প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে এ হলগুলো নির্মাণের বিষয়ে বলেছিলেন। এ দুটি হল নির্মাণের মাধ্যমে আশাকরি শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। যারা এ হলগুলোতে থেকে লেখাপড়া করবেন, তারা নিশ্চয়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে নিজের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করবেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চবি উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নবনির্মিত দুটি ছাত্র হলের আবাসন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন । ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে হল দুটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের সঞ্চালনায় ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল হল দুটি চালু করার জন্য। কিন্তু ইউজিসি গত চার বছর ধরে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই লোকবল নিয়োগ দেয়া বন্ধ রেখেছে। তাঁরা বলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা খণ্ডকালীন কাজ করে তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে। অবসর এবং মৃত্যু জনিত কারণে যে জায়গুলো খালি হচ্ছে সে জায়গাগুলোতেই আমরা মূলত লোকবল নিয়োগ দিচ্ছি। আমরা নিজেরা কোনো অনিয়ম করছি না। যেসব শূন্যপদ পূরণ করা অতি দরকার সেগুলোই কেবল করছি। অন্যান্য দপ্তর ও জায়গা থেকে লোকবল নিয়ে এসে হলগুলো চালু করেছি। আমরা চাইলেই পারি এবং সেটা করে দেখিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা সকলে মিলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। এই জায়গাটিকে ভালবেসে আমরা এখানে পড়ে রয়েছি। এখানে না থাকলে আমাদের শিক্ষকরা আরো অনেক ভালো ভালো জায়গায় থাকতে পারত।
উপাচার্য আরো বলেন, আমার নামে বদনাম আছে, আমি নাকি ছাত্রদেরকে গ্রেফতার করতে দেই না। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে বলেছি আমার ছাত্রের নামে একবার চার্জশীট হয়ে গেলে জীবনে কী করবে তারা? আমি চাচ্ছি তারা পাশ করে চলে যাক, কিন্তু অপরাধীরা শাস্তি পাক। নিরাপদ কেউই যেন শাস্তি না পায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিহিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এছাড়াও, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়াও
মোনাজাত পরিচালনা করেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পর্ষদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।