রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

বাঁশখালীর রসালো লিচু বাজারে আসছে চলতি সপ্তাহে

প্রকাশিত: মঙ্গলবার, মে ৪, ২০২১

তাফহীমুল ইসলাম, বাঁশখালী:

বাঁশখালীর বাগানে বাগানে ঝুলছে রসালো লিচু। শুধু বাগানে নয় রাস্তার পাশে, বাড়ির আঙ্গিনায়ও থোকায় থোকায় ঝুলছে বিখ্যাত এই লিচু। ইতিমধ্যে রঙ্গিন হতে শুরু করা রসালো এই লিচু বাজারে উঠবে চলতি সপ্তাহে। ফলন মোটামুটি হলেও লকডাউনের কারণে এবার দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষীরা।

অনেকটা দিনাজপুরের লিচুর মতো হলেও বাঁশখালীর লিচু আকারে ছোট। বিচি বড় হলেও এখানকার লিচু বেশ সুস্বাদু। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বাজারে চলে আসায় এই লিচুর কদর থাকে বেশ। যার কারণে ভালো দামও পান চাষীরা। তবে দিনাজপুরসহ অন্যান্য এলাকার লিচু বাজারে এলে চাহিদা ও কদর কমে যায় বাঁশখালীর লিচুর।

জানা যায়, চলতি বছরে বাঁশখালীর কালিপুর, বৈলছড়ি, সাধনপুর, পুঁইছড়ি, জলদী, চাম্বলের ৭০০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ৬০০ হেক্টর জমিতে। সেই হিসেবে এবছর ১০০ হেক্টর বেশি চাষ হয়েছে।

বাঁশখালী কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালীতে প্রতি বছর লিচুর উৎপাদন বাড়ছে। উপজেলায় ২০১৫ সালে প্রায় ৫০ কোটি, ২০১৬ সালে ৬০ কোটি, ২০১৭ সালে ৭০ কোটি, ২০১৮ সালে ৮০ কোটি ও ২০১৯ সালে প্রায় ৯০ কোটি টাকার লিচু উৎপাদিত হয়েছে। গত বছর করোনা সংক্রমণ থাকার পরেও ১০০ কোটি টাকার উপরে লিচু বিক্রি হয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেক বলেন, ‘তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে লিচুর ক্ষতি হলেও বাঁশখালীতে তেমন ক্ষতি হয়নি। মৌসুমের শুরুতে বাজারে আসায় এই লিচুর বেশ কদর আছে। চলতি সপ্তাহেই বাজারে আসবে বাঁশখালীর লিচু।’

কালিপুরের লিচু বাগান মালিক নুরুল আবছার বলেন, ‘অনাবৃষ্টির কারণে এবার মুকুল লাগেনি। যার ফলে ফলনও ভালো হয়নি। ফলন কম হওয়ায় ভালো দর পাওয়া যাবে বলে মনে করি। এখন প্রতিশত লিচু ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।’

সর্বশেষ