শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩
প্রকাশিত: সোমবার, মার্চ ৬, ২০২৩
নগর প্রতিবেদক::
বহিরাগতদের কাছে দোকান বরাদ্দের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেছে ফইল্যাতলী বাজার ব্যবসায়িরা।
রোববার সকাল ১০টায় নগরীর হালিশহর থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কিচেন মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ি এবং তাদের পরিবারসহ অন্তত পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু কর্মসূচিতে অংশ নেয়। চুক্তি অনুযায়ী ফইল্যাতলী বাজারের প্রকৃত ব্যবসায়িদের কাছে দোকান বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে চসিকের বিরুদ্ধে আগামীতে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ব্যবসায়িরা।
এদিকে দিনব্যাপী দোকান বন্ধ রাখায় ফইল্যাতলী বাজার কেন্দ্রিক আশপাশের লক্ষাধিক মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে দূরদুরান্ত থেকে বাজার করতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে।
সমাবেশে ফইল্যাতলী বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির হাজী আসলাম হোসেন সওদাগর বলেন, দুটি বেনামী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনেকটা গোপনে কিচেন মার্কেটের দোকান বরাদ্দ দিয়েছে চসিক। অথচ চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাহেব আমাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র করেছিলেন, নতুন মার্কেটে ফইল্যাতলী বাজারের পুরাতন ব্যবসায়িদের অগ্রাধিকার ভিত্তিকে দোকান দেয়া হবে। এরপর যদি থাকে সেগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হবে। বর্তমান মেয়রও আমাদের দাবির সঙ্গে একমত। তবে চসিকের এক কর্মকর্তা তার কূটকৌশলের মাধ্যমে আামাদের বঞ্চিত করে অন্যত্র দোকান বরাদ্দ দেয়ায় পাঁয়তারা করছেন। আমাদের জীবন থাকতে তাদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে এই কিচেন মার্কেটের সামনে আমরা লাশ হব। তারপরও বহিরাগত কোন ব্যবসায়িকে দোকান পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন বলেন, চসিক নতুন মর্কেটে ৫৮টি দোকান বরাদ্দ দিয়েছে। এসব দোকান দুই কাউন্সিলর এবং তাদের আত্মীয় স্বজন ও এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তারা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। আগের মেয়রকে সন্মান করে এবং এই বাজারের উন্নতির কথা চিন্তা করে বাজার থেকে সরে গিয়েছি। আমরা পথে পথে ব্যবসা করছি। চসিকের ইজারার টাকাও পরিশোধ করছি। এগুলো কি আমাদের অন্যায়? বর্তমানে আমরা না খেয়ে পরিবার নিয়ে দিনাতিপাত করছি। অথচ বাইরের ব্যবসায়িরা এসে এখানে ব্যবসা করবে, তা হতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা আমরণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এই কিচেন মার্কেটের সামনে জীবন দিব। তারপরও আমাদের ন্যায্য পাওয়া আদায় করা হবে।
এ সময় বক্তব্য দেন সমিতির সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউসুপ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ নাজিম, সদস্য সামছু, ইমরান, ফারুক, আজিজ, নুর আলম সওদাগরসহ ব্যবসায়বৃন্দ ও তাদের পরিবারবর্গ। সমাবেশ শেষে কিচেন মার্কেটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়।