বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
প্রকাশিত: রবিবার, মে ২৩, ২০২১
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
দীপ্ত কৈশোর, লেখিকা দীপ্তি চৌধুরী, প্রকাশক নেসার উদ্দিন আয়ুব, মাতৃভাষা প্রকাশক বাংলা বাজার ঢাকা, মূল্য আড়াইশত টাকা, বইটির ভূমিকা লিখতে গিয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) কবি ও কথাসাহিত্যিক রাম চন্দ্র দাস লিখেছেন জীবনের রহস্যময় অধ্যায়ের নাম ‘কৈশোর’। অজ¯্র প্রশ্ন এসে এ সময় ভিড় করে মাথায়, যার উত্তর কখনো জানা, কখনো অজানা। এক অদ্ভুত ঘোরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে হঠাৎ বদলে যাওয়া জীবন। শৈশবের প্রশ্নহীন সারল্য, সবার অসীম প্রশ্রয় আর অপার স্নেহের ধারায় বয়স চলে জীবন এসে ধাক্কা খায় বাস্তবতার গাঁয়ে। এটা কি, ওটা কেন হয়, সেটার কারণ কী-এমনি অসংখ্য প্রশ্নে বিভোর কিশোর-কিশোরীর সামনে কেউই খুলতে চায় না উত্তরের জানালা। বরং তার বিপরীতে সারাক্ষণ শুনতে হয়, এখন তুমি বড় হয়েছে, এটা করো না, ওটা ধরো না এই কথা বলতে নেই, ওভাবেই চলতে নেই ইত্যাদি। কিন্তু কেন এতসব বিধি নিষেধ, সে কথা কেউ বলে না অথচ প্রশ্নগুলোর উত্তর যে জানা চাই-ই চাই। কিশোর মনের এমনই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে এগিয়ে এসেছে এক স্বর্ণকিশোরী দীপ্তি চৌধুরী। মেধা ও বুদ্ধিতে স্বর্ণকিশোরীর খেতাব প্রাপ্ত দীপ্তি তার নিজ জীবনের অভিজ্ঞতায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজেছেন, জানাতে চেয়েেেছন সমবয়সী সকলকে। দীপ্ত কৈশোর বইটিতে যে বিষয়গুলোর অবতারণা তিনি করেছেন, তা যে কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়, সে কথা নিঃসন্দেহ বলা যায়।
বইটিতে অনুভূতি লিখতে গিয়ে দীপ্তি সবচেয়ে প্রিয় মানুষ জনপ্রিয় উপস্থাপক ও সমাজকর্মী ফারজানা ব্রাউনিয়ে লিখেন, “দীপ্তি” এক দীপ্তিময় কিশোরীর নাম। যার কথা এবং লেখনীতে যে ধার ও গভীরতা, তা শুধু আমায় মুগ্ধই করে না বরং প্রায়ই করে না প্রায়ই করে তুলে আবেগাপ্লত। সুন্দর কৈশোর গড়ার সংগ্রাম স্বর্ণকিশোরীর যাত্রায় এক দীপ্ত নেতার নাম দীপ্তি চৌধুরী। বইটিতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের আপামর কিশোর-কিশোরীর না বলা কথা। নিজের কৈশোরকে সুন্দর করতে কিশোর-কিশোরীদের নিজের করণীয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বইটিতে।
দীপ্তি চৌধুরী তাঁর বইটিতে আটাশটি বিষয়ে নিয়ে আটাশি পৃষ্ঠার বইটিতে অসাধারণভাবে তুলে ধরছে, কেন কৈশোর গুরুত্বপূর্ণ, প্রথম পরিবর্তন, বাবা-মায়ের সন্তান, চলো নিজেকে জানি, জীবন সুন্দর, আমি সুন্দর, আমাকে কেউ বোঝে না, বন্ধু, যৌন নিপীড়ন, বাধা যত উপড়ে ফেলো, আমার সোনার বাংলা, জয় হোক ইত্যাদি।
দিপ্তী চৌধুরী বি-বাড়িয়া জেল নাসিরনগর উপজেলার সম্ভ্রান্ত পরিবারে ২০০৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শিবলী চৌধুরী মাতা দিপালী চৌধুরী বোন দিশারী চৌধুরী ।
২০১৬ সালে স্বর্ণকিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হয়ে দেশব্যাপী কিশোর-কিশোরীদের জন্য কাজ শুরু করেন। নির্বাচিত হয়েছেন বছরের সেরা স্বর্ণকিশোরী, রোহিঙ্গা কিশোরীদের সাথে কাজ করেছেন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পুষ্টি সমাবেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বর্তমানে জাতিসংঘ ফুড সিস্টেম সামিটের তরুণ প্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন। ঢাকায় হলিক্রস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়নরত আছেন।
বইটি রকমারিতে পাওয়া যাবে।