বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, মার্চ ২৮, ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ::
ফটিকছড়ি আসনে সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল আনোয়ার। ২০০৮ সালে মহাজোটের ব্যানারে এ আসনে নির্বাচন করে বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন তৎকালিন আওয়ামী লীগের ক্ষমতাধর নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন শরিক দল তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
ফটিকছড়ির তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও ফটিকছড়িতে যেন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের মতো। মহাজোটের ব্যানারে সংসদে যাওয়া নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পর্ক নেই সেভাবে।
ফলে আওয়ামী লীগের যে শক্ত অবস্থান গড়ে ওঠার কথা সেভাবে তা হয়নি। বরং দলের ভিতরে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে।
নেতাকর্মীদের দাবি, মহাজোট থেকে নয় আওয়ামী লীগ থেকে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করা হোক। যেন দল ও দলের নেতাকর্মীরা এমপির কাছে গিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেরতে পারেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকার তিন মেয়াদে যে উন্নয়নযজ্ঞ চালাচ্ছে তা জনগণের ঘরে ঘরে পৌছানো যাবে।
বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যশী ছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাতিজাতুল আনোয়ার সনি, সদ্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য সাদাত আনোয়ার সাদী।
প্রথম দুইজনের একজন সংসদ সদস্য ও আরেক জন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। ফলে এবার তারা সংসদ নির্বাচনে আগ্রহী থাকছেন কি সেটা নিয়ে কৌতুহল রয়েছে।
ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ির তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায় থেকে বেড়ে ওঠা নেতৃত্ব তরুণ ব্যবসায়ী ও সাবেক ছাত্রনেতা সাদাত আনোয়ার সাদীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হোক। মহাজোটের প্রার্থীর চেয়ে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাদাত আনোয়ার সাদী ফটিকছড়িতে বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
সাদাত আনোয়ার সাদী বলেন, ফটিকছড়ির সাথে আমার রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। এ ফটিকছড়ির উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। দলের নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখে জনগণের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার যে উন্নয়ন তা প্রচার করছি এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। ফলে ফটিকছড়ির সব ইউনিয়ন পর্যায়ে চষে বেড়িয়েছি।
এছাড়াও নানা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে রাতদিন পরিশ্রম করেছি। দলীয় সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন সে স্বপ্নের সহযাত্রী হতে চাই ফটিকছড়িবাসী। ফটিকছড়িবাসীর প্রতিনিধিত্ব করার জন্য মমতায়ী মা শেখ হাসিনার কাছে একবার ফটিকছড়িবাসীর সেবা করার ও ফটিকছড়িকে মডেল উপজেলা করার সুযোগ চাই। যদি দল মনোনয়ন দেয় তাহলে ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করতে পারবো বলেন সাদী।
সাম্প্রতি সময়ে নানা বিতর্কিত কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী। এদিকে প্রায় সাড়ে ৩৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর দুই ছেলেসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। সবমিলিয়ে সংসদে আগামীতে ভান্ডারী যেতে পারছেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।