বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
প্রকাশিত: বুধবার, মে ২৪, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি জামায়াতের সাত নেতা-কর্মীর নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০/৫০০ বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে
মঙ্গলবার (২৩ মে) জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বাদী হয়ে ২০০২ সালের আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আইনের ৪ ও ৫ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ মে এক সমাবেশে রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির নির্দেশ দেয়। এ ছাড়াও গত ২১ মে জামালপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জামালপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন আর রশিদ উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনমনে ত্রাস, নৈরাজ্য ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অভিপ্রায় প্রকাশ করে। এতে জামালপুরের মানুষের মাঝেও আতংক, ভীতিকর পরিবেশ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়।
মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০/৫০০ বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন মামলাটি আমলে নিয়ে ২ কার্যদিবসের মধ্যে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে মামলার বাদি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, বিএনপির জনসভায় প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছে।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ জামালপুরের বিএনপির নেতৃবৃন্দ জামালপুরে জন সমাবেশ থেকে একই ধরনের বক্তব্য দেয়।
এরইমধ্যে রাজশাহীর বিএনপি নেতা চাঁদের বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে গেছে। আবু সাঈদ চাঁদের বক্তব্য আমার ভালো লাগেনি। আমার কাছে এটা অপরাধ মনে হয়েছে। এ কারণে তিনি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
মামলা দায়ের প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, রাজশাহীর জনসভার বক্তব্যের সাথে আমাদের জামালপুরের কোন যোগসূত্র নেই। ২০ মে জামালপুরে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ ছিল। আমরা পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছি। এখানে সরকারের বিরুদ্ধে কোন উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়নি। মামলাটি মূলত করা হয়েছে আমাদের চলমান আন্দোলনটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।