মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, মে ২০, ২০২১
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার:
কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ৫নং ওয়ার্ড নাইক্ষ্যংদিয়া দক্ষিণ পাড়ায় অসহায় বড় ভাই-বোনদের বসতভিটা সৎ ভাইদের দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উক্ত বসতভিটায় পুলিশের তদারকি ও আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাইক্ষ্যংদিয়া ৫নং ওয়ার্ডের মৃত সুজা আলমের ওয়ারিশগণের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধের জের ধরে সুজা আলমের প্রথম স্ত্রী আয়েশা বেগমের পুত্র ও কন্যাদের সাথে দ্বিতীয় স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের পুত্র ও কন্যাদের মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে, দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্ররা মিলে প্রথম মায়ের বড় ছেলে ও মেয়েদের বসতবাড়ির উঠানে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। ভাইবোনদের সাথে কোনো বৈঠক ছাড়াই স্থাপনা নির্মাণে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা বাধা সৃষ্টি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও বাকবিতন্ডা হয়। এ নিয়ে ছোট স্ত্রীর পুত্র সন্তান জহিরুল ইসলাম ও পাঁচ ভাইদের তান্ডবে এলাকায় ভীতসন্ত্রস্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ছোট মায়ের ভাই- জহিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও তাহিদুল ইসলামের সশস্ত্র হুমকিতে বড় মায়ের সন্তানরা অনেকেই ঘরছাড়া ও অসহায় হয়ে পড়েছে। ছোট মায়ের সন্তানরা দা, লাঠি কিরিচ ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বড় মায়ের সন্তানদের উঠানে গিয়ে বসে থাকে এবং হুমকির পর হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় গত ৫ মে বড় বোন ফরমুজা বেগম বাদী হয়ে ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঈদগাঁও থানার দায়িত্বরত অফিসার বিবাদী পক্ষকে জায়গার কাগজপত্র সহ তলব করলেও তা কর্নপাত না করে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ইন্ধনে কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। পরে ওই বসতভিটায় পুলিশের তদারকি হয় এবং আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও থানা পুলিশ পরিদর্শক এসআই শামীম জানান, ‘আসামিদেরকে বারবার আসতে বললেও তারা আসে না, এবং বাদী ফরমুজা বেগম আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা আনলে আমরা সেখানে গিয়ে আদালত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলি।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের যেকোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী ইউসুফ নবী ও তার বোনেরা।