বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রামে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশিত: সোমবার, মে ২৯, ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি।।

‘বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র্য হবে পুনরুদ্ধার’ এ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে র্যা লি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ মে) তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে ইউএসএআইডি অর্থায়নে ইউএনডিপির সহযোগিতায় এসব অনুষ্ঠান হয়।

সকালে কমলছড়ি ইউনিয়নের জয়ধর পাড়াস্থ বেতছড়ি খ্রীষ্টান পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গন থেকে একটি র্যা লি বের করে পুনরায় এসে শেষ হয়। র্যাষলিতে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ প্রায় শতাধিক লোক অংশ নেন। পরে জয়ধর পাড়ার ‘উপর বেতছড়ি ব্যাঃ চার্চ’ কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. নিখিল চাকমা। এ সময় তিনি বিলুপ্ত ও বিলুল্পপ্রায় প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেন ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির উদ্ভিদের সংরক্ষণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও জীববৈচিত্র্য বিবিধ কারণে মারাত্মক হুমকির সন্মুখীন। তিনি জীববৈচিত্র্য পুনুরুদ্ধারে সকলকে অগ্রণী ভূমিকা পালনের অনুরোধ জানান। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরত্বারোপ করতে এদের বাসস্থান-মেরামত/উন্নত করা জরুরি। বন্যপ্রাণী হত্যা, ধরা, মারা প্রভৃতি কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য এবং এ ব্যাপারে জন সচেতনতা বাড়ানোর জন্য উদাত্ত আহবান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা না পাওয়ায় বিলুপ্ত হয়েছে অনেক জীবের। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানির বিভিন্ন উৎস নষ্ট হওয়ায় জীবজন্তু বন থেকে পালাচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। ধ্বংস হওয়া বনকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাসের উপযোগী করে তুলতে হবে।

দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো যথেষ্ট বন রয়েছে। এসব বনে পরিবেশ, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের এগিয়ে আসতে হবে, পাশাপাশি সরকারকেও আরো জোরালো ভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন CHTWCA-livelihood project এর প্রকল্প সমন্বয়কারী বিপ্লব চাকমা, ২৬০নং ইটছড়ি মৌজার হেডম্যান সাথাউ মারমা, CHTWCA-Communication project’র Social Mobilizer কাপিরী চাকমা, Social Mobilizer নিন্টু চাকমা, বেতছড়ি খ্রীস্টান পাড়া ভিসিএফ’র উপদেষ্টা সমীর চাকমা সহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, গত ২২মে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন করার কথা। কিন্তু অনিবার্য কারণবশতঃ করতে পারিনি। তাই অনুষ্ঠানটি আজকে আয়োজন করে সংস্থাটি।

নগর নিউজ/দহেন/

সর্বশেষ

সর্বশেষ