সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩

পটিয়ায় পাওনা টাকা দাবি করায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩

পটিয়া প্রতিনিধি:

পটিয়ায় পাওনা টাকা দাবি করায় উপজেলা যুবলীগ নেতাসহ তিনজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পটিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেনসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি উপজেলার কোলাগাও এলাকার রমিজ উদ্দীনের কাছ থেকে প্রায় ৪০/৪৫ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। পাওনা টাকা দাবি করলে রমিজ উদ্দীন যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেনসহ বিভিন্ন পাওনাদারদের নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছে।

মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আলম (৬০) ও মর্তুজা বেগম (৪৫) নামের এক দম্পতিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট রাত ১১টায় উপজেলার মনসা সুগন্ধা পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ঘটনাস্থল দেখানো হলেও ঘটনার বাদীর রমিজ উদ্দীন ও তার ভাই আব্দুস শুক্কুর পটিয়াতেও ছিল না। যুবলীগ নেতা বুলবুলসহ বাকীরা সবাই সারাদিন স্হানীয় এমপির সাথে সারাদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছিলেন। এ সময় প্রকৃত পক্ষে কোন ঘটনায় ঘটেনি। পাওনা টাকা না দেয়ার কৌশল হিসেবে এ মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ আওয়ামী লীগ নেতা বসির আলম ১০ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে গত ৯ আগস্ট মামলার বাদী রমিজ উদ্দীনের ভাই আব্দুস শুক্কুরের কাছে আইনগ নোটিশ পাঠান।

রমিজ উদ্দীন ও আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে এলাকার বিভিন্ন লোকজনকে বিভিন্নভাবে লোভের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী রমিজ উদ্দীনের ভাই কোলাগাও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুস শুক্কুর বলেন, আসামিরা আমাদের বিরুদ্ধে ভুয়া বানোয়াট কিছু কাগজ পত্র তৈরী করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আসছে। আমরা অভিযোগে যেটা উল্লেখ করেছি সেটা শতভাগ সঠিক এর স্বপক্ষে স্বাক্ষী প্রমাণও আছে বলে দাবি করেন।

উপজেলা যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেন বলেন, যে অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে এ অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করার বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করব, প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সবার কাছে তুলে ধরব। জাতীয় শোক দিবসের দিন সারাদিন দলীয় কর্মসূচি নিয়ে ব্যবস্থ ছিলাম আমরা সবাই। আমরা হুইপ মহোদয়ের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছিলাম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আল মামুন বলেন, আসামিরা যদি ঘটনার সাথে জড়িত না থাকে তারা আদালত থেকে নির্দোষ প্রমানিত হবে। ঘটনা সত্য কিনা মিথ্যা সেটা আদালতে প্রমান হবে এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।

সর্বশেষ