শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নীরবে অসহায়ের পাশে ব্যাতিক্রমী এক জনপ্রতিনিধির নাম মুন্নী

প্রকাশিত: শনিবার, মে ১, ২০২১

ফেরদৌস বেগম মুন্নী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:

গত বছরের মার্চ মাসে করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ লকডাউনে সক্রিয় ছিল কমবেশি সকল রাজনীতিবিদরা। বিশেষ করে সে সময়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন চলার কারণে বেশ সক্রিয় দেখা গিয়েছিল কাউন্সিলর প্রার্থীদের। তবে এবারের লকডাউনে দেখা নেই সে সব মৌসুমী জনদরদীদের। কারণ নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে, জনগণকে তাদের এখন আর প্রয়োজনই নেই।

কিন্তু এর ব্যত্রিক্রম একজন আছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে। যিনি সংরক্ষিত আসনে তিন ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। নগরীর ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নী। নির্বাচনের আগে যেভাবে নীরবে নিভৃতে জনগণের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছেন, বাড়িয়েছেন সাহায্যের হাত এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। নির্বাচন শেষ হলেও একজন জনপ্রতিনিধি তথা জনগণের সেবক হিসাবে এ করোনা কালীন সময়ে পাশে গিয়ে দাড়িয়েছেন নির্বাচনী এলাকার আম-জনতার পাশে।

চলতি বছরের লকডাউনের শুরু থেকে খাদ্য সামগ্রী, নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছেন তিনি। শনিবার (১ মে) মহান শ্রমিক দিবস। এ দিন শ্রমিকদের হলেও করোনা কারণে তারা অসহায়, কষ্টে দিন যাপন করছে। শ্রমিক দিবসে নগরীর ২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ভালোবাসার উপহার পৌছে দিয়েছেন ফেরদৌস বেগম মুন্নী। শনিবা নিজে এসব শ্রমিকদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের হাতে তুলেন খাদ্য সামগ্রী।

এর আগে ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের লালিয়ারহাট, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট, করম আলী মুন্সীর বাড়ি, আর নাথ পাড়া, কুলগাও, বালুচরা, ছড়ারকুল নির্বাচনী এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। আবার অনেককে দিচ্ছেন নগদ অর্থও।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী, ২ নং জালালাবাদ, ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নী বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকেই আমি সবসময় চেষ্টা করেছি নিজের যা আছে সামান্য কিছু দিয়ে হলে আমার এলাকার মানুষের পাশে থাকব। সে হিসেবে গত বছর মার্চ থেকে আমি আমার নিজের অর্থায়নে যা পেরেছি করতে চেষ্টা করছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আবার এলাকার মানুষের পাশে থাকার প্রত্যায় নিয়ে সামান্য উপহার সামগ্রী বিতরনের উদ্যেগ নিয়েছি। নিজে গিয়ে খবর নিয়ে যারা সমস্যায় আছে তাদের তুলে দিচ্ছি এসব উপহার। প্রত্যেক বাড়ি বাড়িতে যাবো ইনশাল্লাহ, তাদের পাশে থাকবো সব সময়।

সর্বশেষ