বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩
প্রকাশিত: রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩
‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং শেষ না করে মাঝপথে কলকাতায় ফিরে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের নায়িকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে আটকে গেছে তাজু কামরুল পরিচালিত সিনেমাটি।
প্রযোজক মনিরুল ইসলামের দাবি, নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর সঙ্গে কাজ করবেন না বলেই ঢাকা ছেড়েছেন সায়ন্তিকা। সঙ্গে এটাও জানান, মাইকেলের বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা হাত ধরার যে অভিযোগ করেছেন, তা সত্য নয়। গতকাল শনিবার এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সায়ন্তিকা। সেখানে অভিনেত্রী দুষেছেন প্রযোজককে।
সায়ন্তিকা দাবি করেছেন, নৃত্য পরিচালক নয়, বরং মূল সমস্যার নেপথ্যে সিনেমার প্রযোজক। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু হয়েছে ছায়াবাজের শুটিং। বারবার চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান পাননি তিনি। সায়ন্তিকা বলেন, ‘দুই দিন ধরে কক্সবাজারে গিয়ে অপেক্ষা করেছি। প্রযোজকের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎই বলা হলো, নাচের দৃশ্যের শুটিং করা হবে। প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন। কিন্তু টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। তারপর মাইকেল ছেলেটি আসে। অনুমতি না নিয়ে আমার হাত ধরে। এ ধরনের আচরণ আমার পছন্দ নয়। আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। তাঁর কোনো পরিকল্পনা ছিল না। একেবারে অগোছালো।’
এমন অভিযোগের পরও সিনেমাটির কাজ শেষ করতে চান সায়ন্তিকা। তবে সে ক্ষেত্রে চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে হবে তাঁকে। সায়ন্তিকা বলেন, ‘প্রযোজক যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন, তাহলে আমি নিশ্চয়ই ছবিটার কাজ শেষ করব। কিন্তু তার আগে আমাকে চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে হবে।’
সায়ন্তিকার এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয় প্রযোজক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। অভিযোগের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তিনিও সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে আনলেন অপেশাদারত্বের অভিযোগ।
আজকের পত্রিকাকে প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। আমার সঙ্গে তাঁর সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে আর কী বলার আছে।’