শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: শনিবার, এপ্রিল ৩, ২০২১
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গত ২৯ মার্চ সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়ে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীদের আহত করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি সহ ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও কোতোয়ালি থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, পাঁচলাইশ থানার সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাঃ সম্পাদক মনির আহমেদ চৌধুরী, ছাঁন্দগাও থানার সভাপতি মোঃ আজম, সাঃ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন খান, বায়েজিদ থানার সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, সাঃ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, হালিশহর থানার সভাপতি মোশারফ হোসেন ডেপটি, সাঃ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পাহাড়তলী থানার সভাপতি হাজী বাবুল হক, সাঃ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, ডবলমুরিং থানার সভাপতি মোঃ সেকান্দর, সাঃ সম্পাদক হাজী বাদশা মিয়া, আকবর শাহ থানার সভাপতি আবদুস সাত্তার সেলিম, সাঃ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু, খুলশী থানার আহবায়ক এড, আবদুস সাত্তার, বাকলিয়া থানার সভাপতি ফরিদ আহমেদ, সাঃ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, বন্দর থানার সভাপতি হাজী হানিফ সওদাগর, সাঃ সম্পাদক জাহিদুল হাসান, পতেঙ্গা থানার সভাপতি ডাঃ নুরুল আবছার, সাঃ সম্পাদক মোঃ শাহাবুদ্দীন, ইপিজেড থানার সভাপতি সরফরাজ কাদের রাসেল, সাঃ সম্পাদক রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সদরঘাট থানার সভাপতি মোঃ সালাউদ্দীন, সাঃ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, চকবাজার থানার সাঃ সম্পাদক নুর হোসাইন সহ ১৫ থানা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৩ এপ্রিল) এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডাঃ শাহাদাত হোসেন তৃণমূল থেকে ওঠে আসা একজন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবী চিকিৎসক। বিগত চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করে তিনি চট্টগ্রামবাসীর কাছে জনতার মেয়র হিসাবে পরিচিত। যিনি করোনাকালে অসহায় সাধারণ মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা করে গেছেন। এমন একজন মানবিক মানুষকে মিথ্যা বানোয়াট মালায় পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে আর অন্যদিকে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জুলুমবাজ সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী করার জন্য করোনার এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য বিরোধী দলের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ণ-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও মনোয়ারা বেগম মনি সহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও গায়েবি মামলা দায়েরের ঘটনা নিত্য ঘটছে।
কিন্তু হামলা-মামলা-গ্রেফতারের মাধ্যমে বিএনপিকে ধমিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। বিএনপি কোন সময় আপোস করেনি। এসব বানোয়াট মামলা দিয়ে বিএনপিকে ঘরে আবদ্ধ করে রাখতে পারবে না।
নেতৃবৃন্দ ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও মনোয়ারা বেগম মনিসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। একই সাথে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শাহ আলমসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।