বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
প্রকাশিত: শুক্রবার, মে ১৯, ২০২৩
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক :
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূর্যোদয়ের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এ দিনে আদম (আ.)কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এ দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)।
এ দিনের অনেক আমল হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। নিুে বিশেষ কিছু আমল তুলে ধরা হল-
১. গোসল করা। ২. উত্তম পোশাক পরা। ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা। ৪. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার কাছে থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এ আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সব সগিরা গুনাহ মাফের কারণ হবে (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)।
৫. তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া। এ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে, যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি মসজিদে যাওয়া। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটি তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝো’ (সূরা জুমআ, আয়াত : ৯)।
৬. সূরা কাহ্ফ তেলাওয়াত করা। এ দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে, সূরা কাহ্ফ তেলাওয়াত করা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহ্ফ পাঠ করবে, তার জন্য দু’জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইল, হাদিস : ৯৫২)।
৭. বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। এ দিনের আরেকটি আমল হচ্ছে, নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। রাসূল (সা.) বলেন, তোমরা এ দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ কর। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)।
৮. বেশি করে দোয়া করা। জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল হল, বেশি বেশি দোয়ায় মনোযোগী হওয়া। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের ১২ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে যে দোয়া করবে, আল্লাহ তা কবুল করেন (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)।