বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে যেসব এলাকা

প্রকাশিত: রবিবার, মে ১৪, ২০২৩

নগর প্রতিবেদক

শক্তি সঞ্চয় করে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারর জেলার কয়েকটি এলাকা সবচেয়ে বেশি উচ্চ ঝুঁকিতে আছে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে টেকনাফ ও উখিয়া, চকরিয়া ও মহেশখালীতে ঝড়ের বাতাস ও বৃষ্টির কারণে ঝুঁকি বেশি। রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও জুয়াছড়ি এবং বান্দরবানের আলীকদমও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পড়েছে।

চট্টগ্রামের মধ্যে চকরিয়াতে উচ্চ ঝুঁকি এবং বাঁশখালী, লোহাগড়া ও সাতকানিয়ায় মাঝারি মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে। এসব জেলায় ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বইতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও আছে।

এসব এলাকার বাইরে উপকূলীয় দ্বীপগুলোর মধ্যে সেন্টমার্টিন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে শতাধিক পর্যটন হোটেল ও মোটেল রয়েছে। এসব পর্যটনকেন্দ্রের কর্মীরা টেকনাফ ও কক্সবাজারে আশ্রয় নিলেও স্থানীয় প্রায় আট হাজার মানুষ দ্বীপটিতে রয়ে গেছেন। তারা স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হোটেল–মোটেলগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে থাকা লোকজনের বড় অংশকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সেন্টমার্টিনে থাকা মানুষদের আপাতত সেখান থেকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তাদের দ্বীপটিতে হোটেল–মোটেলে নিয়ে রাখা হয়েছে।

এর আগের সিডর ও আইলার মতো বড় ঝড়গুলো মূলত খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ফলে দেড় দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে প্রথম ঝড় হবে এটি।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, রোববার দুপুর নাগাদ অতিপ্রবল ঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এই ঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে কক্সবাজার জেলায় হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল দুপুর নাগাদ কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কিয়াউকপু উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮০–১৯০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়া আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর মোখার কারণে শুক্রবার কক্সবাজার ও এর আশপাশের দ্বীপ ও চরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করেছে। উপকূলবর্তী আরও ১১টি জেলা এবং আশপাশের দ্বীপ ও চরে জারি করা হয়েছে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়াও ১০টি জেলায় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। পাঁচ জেলার পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের আশঙ্কাও আছে।

সর্বশেষ

সর্বশেষ