শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: বুধবার, মে ২৬, ২০২১
তাফহীমুল ইসলাম, বাঁশখালী:
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বাঁশখালীর উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেড়িবাঁধ থাকলেও জোয়ারের পানি বেশি হওয়ায় পানি বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে কৃষি জমি, মৎস্য ঘেরসহ বেশকিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা যায়, উপকূল এলাকার খানখানাবাদ, বাহারছড়া, শেখেরখীল, পু্ঁইছড়ি, গন্ডামারা, সরল, ছনুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সমুদ্রে জোয়ার এলে বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
শেখেরখীল এলাকার জালাল উদ্দীন ইমন বলেন, ‘জোয়ার এলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সরকার বাজার, ফাঁড়ির মুখ, ছনুয়া শেখেরখীল নতুন ব্রিজ এলাকায় পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছিল। পরে ভাটায় পানি নেমে গেছে। ধান কাটা শেষ হওয়ায় তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাতে জোয়ার কম হলে হয়, নয়তো বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। খুলে দেয়া হয়েছে উপকূল এলাকার সাইক্লোন সেল্টারগুলো। মানুষকে নিরাপদে অবস্থান করতে করা হয়েছে মাইকিং। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেচ্ছাসেবক ও মেডিকেল টিম।
খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বদরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা ১০/১৫ ফুট বেড়েছে। মাননীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বদান্যতায় বেড়িবাঁধের কারণে আমাদের এখানে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারছে না। তাই আমরা নিরাপদে আছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু অংশে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না হওয়ায় আমরা পুরোপুরি সুফল ভোগ করতে পারছি না। সামনের ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এখানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই। বিষয়টি আমি এমপি মহোদয়কে জানাবো।’
বেলা একটার দিকে খানখানাবাদ উপকূল এলাকা পরিদর্শনে যান বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী। এসময় উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময় ০৭.০৪ পিএম,
নগর নিউজ/ ইএ/ ২৬ মে ২০২১