বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
প্রকাশিত: শনিবার, মে ২০, ২০২৩
স্বাস্থ্য ডেস্ক :
ঢেকুর তোলা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু বারবার সবার সামনে অনেক জোরে জোরে আওয়াজ করে ঢেকুর তুললে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আবার অনেকে ঘাবড়ে গেলেও ঢেকুর তুলতে শুরু করেন। তবে অনেকেই জানেন না যে, অনবরত ঢেকুর মরণরোগের লক্ষণ হতে পারে।
ফ্লোরিডার নার্স বেলি ম্যাকব্রিনের ঢেকুর কিছুতেই থামছিল না। চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি কোলন ক্যানসারের তৃতীয় পর্যায় রয়েছেন। ২৪ বছর বয়সী বেলির দিনে প্রায় ১০ বার করে ঢেকুর উঠতে শুরু করে। এ ধরনের উপসর্গ আগে কখনো দেখেননি তিনি। মাসের পর মাস এই উপসর্গ দেখেও খুব বেশি গুরুত্ব দেননি বেলি। বদহজম ও পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হলে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। যদিও ঢেকুরের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই, তবে কোলন ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে পরিপাক ক্রিয়ায় গোলমাল হয়। গ্যাস হয়, সেই থেকেই ঘনঘন ঢেকুর ওঠে।
ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে এই অসুখের ঝুঁকি হলেও ইদানীয় খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শারীরিক কসরতের অভাব, বাড়তি ওজন, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ—এসব কারণে অল্প বয়স থেকেই কোলোরেক্টাল ক্যানসার হানা দিচ্ছে মানুষের শরীরে।তাই প্রাথমিক কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চলুন জেনে নিই কোন কোন উপসর্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে–
তলপেটে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা।
কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়, তাই রক্ত স্বল্পতা তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। রক্ত স্বল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি।
দিনে কত বার মলত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয়, আচমকা তার তারতম্য ঘটলে সেটি কোলন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ।
মলের রং পরিবর্তন হলে, পেটে গ্যাসের সমস্যা কিছুতেই না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সারাক্ষণ বমি বমি ভাব, গা গুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।