মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: রবিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২১
তাফহীমুল ইসলাম, বাঁশখালী: উপজেলার গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এস এস পাওয়ার প্লান্টে পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে ৭ জন নিহতের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আসা একটি প্রতিনিধিদল রোববার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে গন্ডামারার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে।
প্রতিনিধিদলে অন্যান্যদের মাঝে ছিলেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ, রাষ্ট্রচিন্তক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, শাহেদুল ইসলাম, মোজাফফর আহমদ, হাসান মারুফ, ছৈয়দুল আলম, ফরিদ আহমদ, সেলিম নুর, নাছির উদ্দীন, হাজী নবী হোসেন, দিদারুল ইসলাম, জাবেদ হোসাইন, মোখতার আহমদ প্রমুখ।
এর আগে আহত শ্রমিক পরিবারসহ শীলকূপ ও বড়ঘোনা এলাকার ২০০ অসহায় পরিবারকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়। পরে সংঘর্ষে নিহত মাহমুদ রেজার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকেও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন তারা। এসময় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে সমবেদনা জানান এবং নিহত মাহমুদ রেজার কবর জেয়ারত করেন।
এসময় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে এখনও যে এভাবে মানুষকে জীবন দিতে হয় এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা পুলিশের সাথে কথা বলে জেনেছি, গুলি করতে ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ছিল না। ম্যাজিস্ট্রেটের হুকুম ছাড়া পুলিশ গুলি করতে পারে না। তাই এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিহতদের প্রত্যেককে নূন্যতম ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। তারা মাত্র কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পাশাপাশি তাদের পরিবারকেও সরকারের আজীবন দেখাশুনা করা উচিত। আমরা এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করেছি। বিচার বিশ্লেষণ করে ঢাকায় গিয়ে বিস্তারিত জানাবো।’