সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: রবিবার, নভেম্বর ১২, ২০২৩
আয়েশা ফেরদৌসী
প্রিয়পুরুষ আমার,
জানেন আজকাল আর আপনাকে এই নামে ডাকতে আমার মন চায় না। আজ অনেক চিন্তা করলাম কি নাম দেওয়া যায় আপনাকে? কি নাম উপযুক্ত আপনার জন্য? পেলাম না কোন নাম, জানেন?
আচ্ছা, আপনি একটা নাম দিন তো যে নামে আমি আপনাকে ডাকলে আপনার ভালো লাগবে। হা,হা,হা, জানি,আমি জানি। আমার কোন ডাকের প্রয়োজন আপনার নেই। সত্যি বলতে আমিও আর ডাকতে চাই না কোন নামে আপনাকে।
শুনলাম আমার জন্য নাকি আপনার অশান্তি হচ্ছে পারিবারিক বা অফিশিয়ালি। কিন্তু, বিশ্বাস করেন এ জীবনে আমি আমার শত্রুরও অশান্তি বা ক্ষতির কারণ হতে চাইনি কখনো। সব সময় চেয়েছি বা চেষ্টা করেছি সবার উপকার করার। তারপরও যখন অজান্তে বা অনিচ্ছায় কোন ক্ষতি করে ফেলি তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারি না। মানসিক যন্ত্রণা হয় ভীষণ, মানসিক যন্ত্রণা। এখন যেমন আপনার জন্য হচ্ছে। খুব, খুব ইচ্ছে করছে একটা মিনিট কল দিয়ে আপনার ভয়েস শুনতে। কি ধরনের সমস্যা তা জানতে। প্রয়োজনে সাহায্য করতে।
কিন্তু, আমি জানি আপনি আমার কল ধরবেন না। আর যখন কল ধরবেন না তখন আমার হৃদকম্পন বেড়ে যাবে। ভীষণ ভাবে মনে পড়বে আমার নিষ্ঠুর প্রাক্তন কে। একটা সময় যাকে আমি ঘন্টার পর ঘন্টা কল দিতাম। ম্যাসেজ করতাম। চিঠি পাঠাতাম মানুষের হাতে এবং বলে দিতাম –“আপনি সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তাকে পড়াবেন। না হলে সে পড়বে না ছিঁড়ে ফেলবে।”
আর বলতাম চিঠির জবাব আনবেন তার থেকে।
অপেক্ষার প্রহর শেষে আমি যখন আমার ডাক পিয়নকে বলতাম –“পড়েছে সে আমার চিঠি? কি বলেছে জবাবে? “
উনি বলতেন –পড়েছে। কিছু-ই বলে নাই। শুধু একটু মৃদু হেসেছে।
এই যে এখন যেমন আপনি হাসছেন মৃদুমিষ্টি হাসি, ঠিক তেমন করে-ই তিনিও হাসতেন।
জানেন, আজ আমি তাকে কল দিয়েছিলাম। না,না,নিজের জন্য নয়। ছেলের জন্য। তার আর আমার একমাত্র ছেলের জন্য। কিন্তু, তার সময় বা ইচ্ছে হয় নাই কলটা ধরার। ছেলেটা আবার ঝামেলা করছে। উল্টোপাল্টা খরচ করছে। কি যে করি একা আমি!
আচ্ছা বাদ দিই। আল্লাহ যা ভাগ্যে রেখেছেন তাই হবে।
ভালো রাখুক আল্লাহ সবাইকে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
কেউ না আমি আপনার।