বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৩
আসাদ রিপন : কচি কাঁচা শিশুদের কোমল হাতে ভারী অস্ত্র-শস্ত্র। কারও হাতে পিস্তল, দু-নলা রাইফেল থেকে একে-৪৭। মেলায় বা খেলনার দোকানে এসব খেলনার অস্ত্রের বেশ চাহিদা। কেননা ক্রেতা শিশুদের ঝোঁকই ওসব খেলনার প্রতি।৷ যে বয়সে ঠাকুমার ঝুলি’র গল্পে বিভোর হওয়ার কথা সে বয়সেই নিজের অজান্তে তারা শিখছে মানুষের মারার অস্ত্রের ব্যবহার।
খেলনার অনেক অনুষঙ্গ থাকতে খেলনার অস্ত্র কেন শিশুদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুরো বিনোদন প্রক্রিয়াটি শিশুদের সামনে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। তাই তারা এসব খেলনায় খোঁক দিচ্ছে। অনেকে এসব খেলনার নিষিদ্ধের দাবীও তুলেন।
এমনই একজন শিশু তানিম আবরার। বড় আপুর সাথে এসেছেন ঐতিহাসিক জব্বার বলি খেলা দেখতে। আপুর সাথে মেলায় স্টলে স্টলে ঘুরতে থাকেন। খেলনার স্টলে এসেই আপুকে বললো “খেলনার অস্ত্র” কিনবে। বাধ্য হয়ে কিনে দিতে হল। মরণঘাতী খেলনা অস্ত্র পছন্দের বিষয়টি খারাপ দেখালেও পছন্দের জিনিস কিনে দিতে বাধ্য হচ্ছি। কিনে না দিলে মন খারাপ করবে।
শুধু আবরার না। মেলায় ঘুরতে আসা অনেক শিশু কিনছেন এরকম ধারালো অস্ত্র। কম বয়সি অনেক শিশুই অভিভাবকের সঙ্গে এসে এসব খেলনা পছন্দ করে কিনছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর আন্দরকিল্লা মোড় থেকে লালদিঘি চত্বর,জেল রোড, কে,সি দা রোড ও লালদিঘি ময়দানের আসে পাশে জমে বিভিন্ন তৈজস পত্র, দা-বটি,ছুরি, শিশুদের খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা। ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির খেলনা পিস্তল, রাইফেল, তির-ধনুকও বিক্রি হচ্ছে। পিস্তল ও রাইফেলে ব্যবহারের জন্য প্লাস্টিক দিয়ে বানানো বুলেটও রয়েছে। খেলনা পিস্তল ছাড়াও নানা ধরনের চাকু, তলোয়ার ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধারালো মারণাস্ত্রের আদলে তৈরি খেলনাসামগ্রী অনেক শিশুর আচরণে পরিবর্তন আনে। এটা করতে দেওয়া উচিত নয়। এতে শিশু সহিংস হয়ে ওঠে। এ ধরনের খেলনাসামগ্রী বিক্রির জন্য দেশে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। আর বিধিনিষেধ না থাকায় খেলনা ব্যবসায়ী ও অভিভাবকরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।