শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: সোমবার, মে ১০, ২০২১
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাঙামাটি:
গত সেপ্টেম্বর থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং প্রচন্ড তাপদাহে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমছে। একই সঙ্গে হ্রাস পাচ্ছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং।
অন্যদিকে কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমে জন-জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ আরও বেশি বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,প্রতিবছর বর্ষায় পাহাড়ী ঢলের সাথে আসা ময়লা, আবর্জনার কারণে এবং হ্রদের আশেপাশে বসবাসরতদের নির্বিচারে বর্জ্য ফেলায়
হ্রদের গভীরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। পানির অভাবে কেন্দ্রের সব ক’টি ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সর্বনিম্ম পর্যায়ে ঠেকেছে। রুলকার্ভ অনুযায়ী এসময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৮.৮৬ এমএসএল (মীন সী লেভেল) বর্তমানে পানি আছে ৭৬.০৮ এমএসএল।
কাপ্তাই ইঞ্জিন চালিত বোট মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. ইদ্রিছ জানান, বর্তমানে হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। হ্রদের বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠা চরের কারণে ইঞ্জিন চালিত বোট চালানো সম্ভব হচ্ছে না। হ্রদে পানি বৃদ্ধি না হলে নৌ-পথে সাথে সংশ্লিষ্ট চালকরা তাদের দৈনন্দিন কর্মে ফিরতে পারছেনা।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের জানান, কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ১টি ইউনিট চালু রয়েছে। কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে দৈনিক ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও পানির অভাবে ১টি ইউনিট থেকে প্রতিদিন ২২-২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। রুলকার্ভ অনুযায়ী এসময় হ্রদে পানি থাকার কথা ৮৮.৮৬ এমএসএল (মীন সী লেভেল) বর্তমানে পানি আছে ৭৬.০৮ এমএসএল।