শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: শনিবার, মে ৮, ২০২১
শেষ পর্যন্ত ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হন সাধারণ এক কর্মজীবী তপন বড়ুয়া। ঢাকা শহরে তার ৩০ বছরের জীবনকাল। শহরের ভাড়া বাসায় বসবাস। নিম্ন আয়ের মানুষটি বাড়িওয়ালার ভাড়া দিতে পারেন না। পেছনে নগরজীবনের ভালো-মন্দের ৩০ বছর। কত মধুর স্মৃতির মায়াজাল। এসবই পেছনে ফেলে তপন বড়ুয়াকে ছাড়তে হয়েছে ত্রিশ বছরের মায়ায় জড়ানো প্রিয় ঢাকা। কারণ, আর কোনো উপায় ছিল না তার। একে একে আয় রোজগারের পথ বন্ধ হলো। রোজগারহীন দুই-তিন মাস কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে ঘরবন্দি অবস্থায়। ক্ষুধার কষ্ট বড় কঠিন। নিজের ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করা যায়। কিন্তু সন্তানের ক্ষুধার কষ্ট কোনো বাবা সইতে পারেন না। তাই ঢাকা ছেড়ে পটুয়াখালী জেলার লাউকাঠী গ্রামে ফিরেছেন তপন বড়ুয়া। সঙ্গে সন্তান সম্বাবা স্ত্রী, ৯ বছর বয়সের কন্যা রিতি বড়ুয়া আর বৃদ্ধা মা। সুন্দর গোছানো এই সংসারটিকে পুরোপুরি এলোমেলো করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। তপন বড়ুয়া এখন অতিদারিদ্র্যের তালিকায়। শুধু তপন বড়ুয়া নন, এমন হাজার হাজার তপন বড়ুয়াকে হতদারিদ্র্য বানিয়েছে বৈশ্বিক করোনাভাইরাস।
এ রকম এক নিদারুণ বাস্তবতার মধ্যে এবার পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস। যখন মহামারি করোনাভাইরাসের অভিঘাতে গোটা দুনিয়াই নাজেহাল। শতাব্দীর সবচেয়ে বড় এই দুর্যোগে উন্নত-স্বল্পোন্নত সব দেশই কমবেশি বিপর্যস্ত। কোনোরকমস প্রস্তুতি ছাড়াই এত বড় বিপর্যয় মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে। দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশের জন্য এই আক্রমণ মোকাবিলা করা এক কঠিন চ্যালেঞ্জ বৈকি। ব্র্যাকের এক জরিপ থেকে জানা যায়, কভিডে ৭৫ শতাংশ নিম্নবিত্তের মানুষের আয় কমেছে। দরিদ্রদের ৮৯ ভাগ মানুষ অতিদারিদ্র্যের কাতারে নেমে এসেছে। ১৪ শতাংশ মানুষের ঘরে খাবার সংকট। কভিডের আক্রমণে তপন বড়ুয়ার মতো বিশ্বব্যাপী অন্তত ৪০ কোটি মানুষ নতুন করে চরম দারিদ্র্যসীমায় নেমে এসেছে। নতুন এই সংখ্যা মিলে পৃথিবীতে এখন ১১০ কোটি হতদারিদ্র্য মানুষ। বৈশ্বিক কভিডে শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দায় এখন গোটা দুনিয়া।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এক প্রকার অবরুদ্ধ ছিল সারাদেশ। দফায় দফায় গণছুটির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সারাদেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই বন্ধ ছিল। লকডাউন তুলে নেওয়ার পরও কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক হয়নি অনেক প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে। সক্ষমতা অনুযায়ী পুরো মাত্রায় উৎপাদন শুরু হয়নি শিল্পকারখানায়। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। পেশা পরিবর্তন করেছেন। বেতনভাতা কাটছাঁট হয়েছে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে। কমবেশি আয় ও মুনাফা কমেছে। অধিকাংশ শ্রেণি-পেশার মানুষের আয়েই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। করোনার আক্রমণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে দিনমজুর, শ্রমিক, ভাসমান নানা পেশার দরিদ্র মানুষ। দেশে এখন অফিস-আদালত বন্ধ। মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশে স্বল্প পরিষরে কাজকর্ম চলছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও সবই বন্ধ। মিল-কারখানায় কাজকর্ম সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শুরু হয়েছে। তবে বহু শ্রমিক এখনও কাজ পাননি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে যাদের দোকানপাট, ক্ষুদ্র ব্যবসা ছিল, তা এখন থাকলে ও বন্ধের মতো ।
এদের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দিনে ১ দশমিক ৯ ডলারের কম আয়ের মানুষ অতিদারিদ্র্য। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬১ টাকা। বিশ্বব্যাংক ২০১৫ সালে হতদারিদ্র্যের এভাবে সংজ্ঞায়িত করে। এর আগে ১ দশমিক ২৫ ডলারের কম আয়ের মানুষকে অতিদারিদ্র্য হিসেবে ধরা হতো। অন্যদিকে, দারিদ্র্য হচ্ছে ন্ন্যূতম জীবনযাত্রার মান অর্জনের অক্ষমতা।
১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় প্রতিবছর ১৭ অক্টোবর দারিদ্র্য বিমোচন দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরের বছর ১৯৯৩ সাল থেকেই সারাবিশ্বে এই দিনটি দারিদ্র্য বিমোচন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘সকলের জন্য সামাজিক এবং পরিবেশগত সুবিচার প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে লড়ি’।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) এক জরিপ বলছে, শুধু কভিডের কারণে যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে অন্তত ৪০ কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমায় নেমে আসবে। এ কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১১০ কোটিতে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, গত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দায় পড়েছে বিশ্ব। কভিডের কশাঘাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধা থেকে দরিদ্র পরিবারের শিশুরা বাইরে রয়েছে। এতে দারিদ্র্যের বহুমুখী এবং দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরির বড় আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়বে আয় বৈষম্য, শিশুশ্রম ও সামাজিক সহিংসতা। কভিডের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশে শিশুশ্রম বেড়েছে। এ মুহূর্তে বিশ্বের ১৩০টি দেশের অন্তত ১০০ কোটি শিশুর স্কুল বন্ধ রয়েছে। স্কুল আবার শুরু হলেও বহু দরিদ্র পরিবার সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাতে পারবেন না। তারা মনে করেন আগে খাওয়া, পরে পড়ালেখা। তাই দারিদ্র্যের কারণে এসব পরিবারের শিশুরা শ্রমে নিযুক্ত হতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ পরিস্থিতি আরও কিছুটা নাজুক। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর জুন শেষে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশে ঠেকেছে। অতিদারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। করোনার আগে এই হার ছিল যথাক্রমে ২০ দশমিক ৫ এবং ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। বিবিএসের জরিপমতে, ২০১৬ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। অবশ্য কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি গবেষণা সংস্থার জরিপের ফল সরকারি হিসাবের তুলনায় বেশি। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, করোনায় দারিদ্র্যের হার বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর
ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক জরিপে বলা হয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে সরকারি জরিপের সাথে এ হিসাবে ভিন্নতা রয়েছে।
দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থা। তারা এ রকমও বলেছে, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নতির এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে পারে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্ব। গত দেড় দশকে বাংলাদেশের দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়। ২ হাজার সাল থেকে এ পর্যন্ত দারিদ্র্য কমেছে মোট দারিদ্র্যের অর্ধেকেরও বেশি। বিশ্বব্যাপী গত তিন দশকে ৯৪ কোটি মানুষ হতদারিদ্র্যের করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সাল নাগাদ দারিদ্র্যের হার শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশসহ এই কাতারের অন্যান্য দেশ। করোনাকালে দারিদ্র্য হ্রাসে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ ক্যাশ পৌঁছানো, শিল্পকে সহায়তা দিয়ে কর্মসংস্থান ঝরে পড়া রোধসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর উদ্যোক্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা, সুশাসনের অভাব, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক দফা বন্যা, আম্পানের আঘাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা পদক্ষেপের প্রকৃত সুফল আশানুরূপ মেলেনি। দেখা গেছে, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ঘরের মাটি খুঁড়ে গরিবদের জন্য বরাদ্দ চালের বস্তা উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। নগদ ক্যাশ সহায়তার ক্ষেত্রে এক জনপ্রতিনিধির মোবাইল থেকে শতাধিক নাম নিবন্ধনের ঘটনা ধরা পড়ে। ত্রাণের চাল চুরির ঘটনা তো মা-মোলিক ঘটনা। সরকার এদের আইনের আওতায়ও এনেছে।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউিট অব গভর্ন্যান্স ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপ বলেছে, ৬৫ শতাংশ প্রকৃত গরিব মানুষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই বাস্তবতায় কভিডের অভিঘাত মোকাবিলা করে দারিদ্র্য বিমোচন সহজ হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। এই নাজুক অবস্থা কভিডে একেবারে ভেঙে পড়েছে। দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকা শ্রেণিও নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে ভিড় জমিয়েছে। কভিডকালে সরকারের সদিচ্ছা এবং কিছু ভালো পদক্ষেপ সত্ত্বেও দরিদ্রদের সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত দুর্বলতা এবং সুশাসনের ঘাটতির কারণে ভালো উদ্যোগগুলো তেমন ভালো ফল দেয়নি। সরকার চেষ্টা করেছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য। তবে সরকারের কাজে কোন ধরনের ঘাটতি ছিল একথা বলাও সমীচীন নয়।
করোনার জন্য ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আরও বেড়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অনুযায়ী দারিদ্র্য বিমোচন হয়তো সম্ভব হবে না। এই কঠিন বাস্তবতায় দারিদ্র্য বিমোচনে প্রক্রিয়াগত দুর্বলতায় নজর দেওয়া জরুরি । নতুন কিছু নীতিও নেওয়া যায়- যাতে হতদারিদ্র্যরা আয়ের একটা অবলম্বন করে নিতে পারে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে টিকিয়ে রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ, বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত প্রবাসী শ্রমিকদের জীবিকার জোগানে বড় উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন।
সরকার দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। জাতীয়ভাবে কোভিড-১৯ টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন ভাগে (ফেইজ) মোট পাঁচ ধাপে এসব টিকা দেওয়া হবে। তবে এতে প্রাধান্য পাবে সম্মুখযোদ্ধারা। প্রথম ফেইজের প্রথম ধাপে দেশের মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশ, অর্থাৎ ৫১ লাখ ৮৪ হাজার ২৮২ জন টিকা পাবেন। দ্বিতীয় ধাপে মোট জনসংখ্যার সাত শতাংশ, এক কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৭ জন টিকা পাবেন। দ্বিতীয় ফেইজে পাবেন জনসংখ্যার ১১ থেকে ২০ শতাংশ; অর্থাৎ এক কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৮ জন। তৃতীয় ফেইজের প্রথম ধাপে জনসংখ্যার ২১ থেকে ৪০ শতাংশ অর্থাৎ তিন কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৭ জন এবং শেষ ধাপে জনসংখ্যার ৪১ থেকে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ছয় কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪ জনকে টিকা দেওয়া হবে। মূল পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে টিকার প্রাপ্যতা অনুযায়ী মাসভিত্তিক বিতরণ তালিকা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিপ্তদর।
বিশ্বের অনেক দেশ যেখানে এখনও করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারেনি, সেখানে ‘সীমিত শক্তির’ বাংলাদেশে এই কার্যক্রম শুরু করাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বহু প্রত্যাশার টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে এই কর্মযজ্ঞের শুরু হয়। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগে আগে নিলে বলবে আগে নিজেই নিল, কাউকে দিল না। সবাইকে দিয়ে নিই তারপর আমি নেব। এসময় অনুষ্ঠানে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া দেখেন প্রধানমন্ত্রী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের সমাজের সম্পদশালী উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠানগুলো নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ প্রদান ছাড়াও নানা পর্যায়ের বিপন্ন মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার নানা মানবিক কাজে যুক্ত রয়েছেন ।মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী বিকাশ স্বাস্থ্য খাতে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে। ব্র্যাক ব্যাংকও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে সহায় তার হাত বাড়িয়েছে। আরও অনেকে ইহয়তো এভাবে কাজ করছেন। বাংলাদেশে এমনও মানুষ আছে তাদের কি পরিমাণ টাকা আছে নিজেরাও জানেন না। তারা দেশের বিভিন্ন সময়ে সাহায্য করে থাকেন। এ সংকটে সে বিত্তশালীদের আরও বেশি সক্রিয় দেখতে চাই ।
লেখক – জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ প্রতিনিধি দৈনিক আমার সময়।