শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

করোনায় সুনসান নীরব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: রবিবার, মে ২৩, ২০২১

সোনাই চাকমা:

দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মত গত এক বছরেরও বেশি ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ করোনা পূর্ববর্তী সময়ে হাজার হাজার মেধাবীদের পদচারণায় সরগরম থাকত দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপিট। কিন্তু এখন নেই কোন শিক্ষা কার্যক্রম।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছো দেশের সকল অফিস, আদালত, শিল্প কারখানা। এই নিয়ে ক্ষোভ আছে দেশের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান সরকার তাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। শিক্ষা একটি জাতীর মেরুদণ্ড, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যদি এভাবে খেলা করা হয় তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংকটে পড়তে পারবে। সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলো বন্ধ। করোনা কি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে? এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, জাতি পঙ্গু হতে আর বেশি সময় লাগবেনা।

এদিকে চাকরির বয়স উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সরকার চাকরির বয়স বাড়িয়ে দিতে পারলেও জীবনের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারবেনা। তাই তিনি সকল শিক্ষার্থীদের স্বার্থের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষা জীবন দ্রুত শেষ করার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

অন্যদিকে হল, ক্লাসরুম, ঝুপড়ি সবকিছু ফাঁকা থাকলেও প্রকৃতি সৌন্দর্যের কোন অপূর্ণতা নেই বিশ্ববিদ্যালয়টির। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব লীলাভূমি। ইশ্বর যেন সমস্ত সৌন্দর্য উজার করে দিয়েছেন এখানে। শহরের কোলাহল আর যান্ত্রিকতা থেকে দূরে অবস্থিত আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় এ ক্যাম্পাস যেন প্রকৃতির কোলে গড়ে উঠা এক অপরূপ ও অনন্য নৈস্বর্গ। সবুজ বৃক্ষসারির উপর উড়ন্ত বিচিত্র রঙের হরেক রকম পাখি, সবুজ পাহাড়ের কোলে থাকা হরিণ, বুনো শুকর, অজগর কিংবা বিচিত্র আর দুর্লভ প্রাণীর জীবন্ত জাদুঘর চবি ক্যাম্পাস। ঝুলন্ত সেতু, ঝর্ণাধারা, বঙ্গবন্ধু উদ্যান,জয় বাংলা চত্বর,শহিদ মিনার, জাদুঘর, রহস্যময় চালন্দা গিরিপথ এবং সুবিশাল মাঠ সবকিছু যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে নতুন রঙ ও সজীবতা নিয়ে। তাই সকল শিক্ষার্থী উৎগ্রীব হয়ে আছে কখন তারা ফিরবে প্রিয় ক্যাম্পাসে।

সর্বশেষ