বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, মে ২৫, ২০২১
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:
চট্টগ্রাাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারীর কারণে সেটা আর হচ্ছে না। কয়েক বার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হলেও করোনার কারণে আবারো কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হবে বৃহত্তর এ ইউনিটের কমিটি। ২০০০ সালে ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করার মাধ্যমে চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর দীর্ঘ ২১ বছরেও নতুন কমিটির মুখ দেখেনি দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। তবে কেন্দ্রীয় নতুন কমিটি গঠন করার পর সম্মেলন করে কমিটি করার প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত সেটা হচ্ছে না।
এদিকে সম্মেলন না হলেও কেন্দ্র থেকে আহবায়ক বা আংশিক কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছে। এরই মধ্যে কমিটির পদ প্রত্যশীদের বায়োডাটা সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় টিম। নতুন কমিটি হলে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচ এম জিয়াউদ্দিন, তিন যুগ্ম আহ্বায়ক কে বি এম শাহজাহান, সালাউদ্দিন আহমেদ, আমিনুল ইসলামসহ ২১ সদস্যের কমিটির বেশির ভাগ নতুন কমিটিতে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা চাচ্ছেন নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিউর করিম নাফা বলেন, সম্মেলন করার সব ধরণের প্রস্তুতি থাকলেও করোনার কারণে সম্মেলন করা যাচ্ছে না। সর্বশেষ আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সম্মেলন করার নতুন তারিখ দেওয়া আছে। এরপরও যদি সম্মেলন করতে না পারি, তাহলে কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও আমাদের অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নির্দেশনা দিবেন, সে মোতাবেক আমরা কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বায়োডাটা আমরা নিচ্ছি না। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ৫২২ জন নেতার বায়োডাটা আমরা নিচ্ছি। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে যেনো কোনো মাদক ব্যবসাসয়ী, চাঁদাবাজ, সুযোগ সন্ধানী অনুপ্রবেশকারীরা থাকতে না পারে সেটা তদন্ত করার জন্যই সিভি নেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী পরিবার ও আওয়ামী রাজনীতির যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে নতুন কমিটিতে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
নতুন কমিটিতে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল, সদস্য দেবাশীষ নাথ দেবু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক ও বেসরকারী কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ। নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সরকারী কর্মাস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেলাল উদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী, সুজিত দাশ, আব্দুর রশিদ লোকমান, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ওসমান গণি মানিক, মিনহাজুল আবেদীন, মকসুদ আলী, হায়দার আলী। এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা এম.এ নেওয়াজ, সবুজ মিয়াজী, শেখ ফরিদ ও রাহুল দত্ত।
জানতে চাইলে সভাপতি পদপ্রত্যাশী হেলাল উদ্দীন বলেন, করোনার কারণে সম্মেলন বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ার কারণে সবার আশা বা প্রত্যাশা থাকবে। নেত্রী যাদের যোগ্য মনে করবেন তাদের কমিটি রাখবে। তবে দলের ত্যাগী ও মেধাবীদের মূল্যায়ন করবে সে প্রত্যশা করি।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ জনগণের ও মানুষের সেবা করার সংগঠন। করোনা মহামারীতে জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষের পাশে ছিলাম। কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসুচি পালন করেছি। দীর্ঘদিন ছাত্ররাজনীতি করার পর বিগত ৮ বছর ধরে কোনো পদপদবীতে নেই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী, পদ-পদবী নই, সমাজ ও দলের জন্য কাজ করার জন্য রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছি। দলের মেধাবী ত্যাগী ও আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের দিয়ে নতুন কমিটি হবে এবং কোনো বিতর্কিত যেন স্থান না পায় সে প্রত্যাশা করি।
বাংলাদেশ সময় ০৬, ৩৪ পিএম
নগর নিউজ/ইএ/ ২৫ মে ২০২১