সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:::

সীতাকুণ্ডে আব্দুল হাকিম ফরহাদ জিকু (২২) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই যুবক দীর্ঘদিন ধরে এক বিরল রোগে ভুগছিলেন।

সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পৌরসদরের দক্ষিণ মহাদেবপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাসান গোমস্তাপাড়া মকবুল চালকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। জিকু ওই এলাকার মৃত ইসমাইল সওদাগরের ছেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠায়। জিকু সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিকে লাশের সাথে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পরিবারের সদস্যরা। সেখানে লেখা ছিল “পুলিশ ভাই, আমি অসুস্থতা সহ্য করতে পারছিনা, যার কারনে আমি নিজেই চলে গেলাম। আমার পরিবারের ওপর কোন সমস্যা না করেন তার জন্য আপনাদের বিনীত ভাবে বলছি… আরো লিখেন অনেক কিছুই লিখেন চিরকুটে…..

কাউন্সিলর দিদারুল আলম অ্যাপোলো জানান, জিকু দীর্ঘদিন ধরে কঠিন রোগে ভুগছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার কোনো কমতি ছিল না। কিছুক্ষণ আগে সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। শরীরে অসহ্য জ্বালাপোড়ায় ভুগছিল সে। পরিবারের অজান্তে সে স্বেচ্ছায় ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এছাড়া কাউকে দোষারোপ না করার জন্য তিনি নিজ হাতে একটি চিরকুট লিখেছেন। তিনি লিখেছেন যে তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানার এসআই সুমন্ত মজুমদার বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। গতকাল রবিবার রাতে যুবক খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে ডাকাডাকি করার পরও তিনি না শুনলে দরজা ভেঙ্গে তাকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তকর পরিবার। তার মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই। অসুস্থতার কারণে শরীর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারায় তিনি মারা যান সেটি চিরকুটে লিখে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিরল রোগে ভুগছিলেন ওই যুবক। পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত না করতে আবেদন করায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।