বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

অর্থ ছাড়াই মিলবে প্রাথমিক সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশিত: বুধবার, মে ১৭, ২০২৩

মুসলেহ উদ্দীন, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ::

সীতাকুণ্ডের প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবায় লেগেছে অভাবনীয় পরিবর্তনের ছোঁয়া। তরুন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদেরের নেতৃত্ব ও অসামান্য কর্মদক্ষতায় নিশ্চিত হয়েছে ইউনিয়নবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা। কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা ইউনিয়নবাসীর অপার স্বস্তি জোগাবে।

অন্যদিকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কেন্দ্রে লোকবলের ঘাটতি পুরণ করতে হবে, কারণ পর্যাপ্ত জনশক্তি ছাড়া মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সহজ বিষয় নয় বলেও জানান উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের।

পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সীতাকুণ্ডে গত ৭ মার্চ ২০২১ইং তারিখে যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্যসেবার এই ছোট্ট ইউনিটে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে বলে জানান মুরাদপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা আসিকুল কবির।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র আধুনিকায়নের জন্য সংস্কারের কাজ চলছে। উপজেলার বাড়বকুণ্ড, মুরাদপুর, বাঁশবাড়িয়া, সোনাইছড়ি, সলিমপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

পরিবার পরিকল্পনা অফিস সুত্রে জানা যায়, এরই মধ্যে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কমিটির কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে। ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কমিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধনপত্র সাধারণ মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে মায়েদের প্রসবোত্তর ও প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানের সাথে ফ্রি গর্ভবতী কার্ড বা এএনসি কার্ড প্রদান করা হয়। যার মাধ্যমে গর্ভবতী মহিলারা মাতৃত্বকালীন ভাতা গ্রহন করতে পারবেন। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং পরিবার কল্যাণ সহকারীরা জনসংখ্যা নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। যা হতে পারে স্মার্ট সীতাকুণ্ড গড়ার প্রধান হাতিয়ার।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের বলেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, বিনামূল্যে স্বাভাবিক প্রসব, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, মা ও শিশু সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় প্রতিটি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অপারেশন থিয়েটার/ ডেলিভারি কক্ষকে এসি এবং টাইলসকরনের আওতায় আনা হচ্ছে। যা আগামী দুই মাসের মধ্যে শেষ হবে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার সোনাইছড়ি, বাড়বকুণ্ড, মুরাদপুর ও সৈয়দপুর পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। ইউনিয়নের জনগন এই নম্বরগুলিতে কল করে পরিষেবা পেতে সক্ষম হবেন এবং সুবিধাভোগীরাও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে ফোন করে স্বাভাবিক ডেলিভারিসহ অন্যান্য পরিষেবা সম্পর্কে অবহিত ও তথ্য নেবেন। এছাড়া উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োজিত রয়েছেন প্রশিক্ষিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কর্মরত প্রশিক্ষিত পরিদর্শিকাদের মধ্যে রয়েছেন, সোনাইছড়িতে রত্না রানী, বাড়বকুণ্ডে ইমা দেবী, মুরাদপুরে জোবাইদা আক্তার, সৈয়দপুরে রোজিনা আক্তার, বারৈয়াঢালায় মমতাজ বেগম, কুমিরার কামরুজ্জামান সেবাকেন্দ্রের বাসায় ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করছেন। যেকোন মুহুর্তে প্রসুতিরা সেবা নিতে পারবেন। তবে, মুরাদপুর, বারৈয়াঢালা ও বাঁশবাড়িয়াতে আয়া সংকটে রয়েছি। কারণ ডেলিভারি কাজের জন্য আয়া খুবই দরকার।

চট্টগ্রাম পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালামের নির্দেশনায়, প্রশিক্ষিত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের তাদের বাসস্থান থেকে জনগণকে সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জিয়াউল কাদের সীতাকুণ্ডসহ সারা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জিপিএস ক্যামেরা অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট মনিটরিং সিস্টেম চালু করে জনগণের সেবা গ্রহণ নিশ্চিত করছেন।

সর্বশেষ