শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রকাশিত: সোমবার, মে ১৭, ২০২১
সংবাদকর্মী রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের হয়েছে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট-১৯২৩ এর ধারা ৩ ও ৫ এর আওতায়। এছাড়াও দণ্ডবিধির ৩৮৯ ও ৪১১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দুর্নীতিবিরোধী বেশ কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে পুরষ্কারজয়ী এই সংবাদকর্মী দেশের অন্যতম প্রধান দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার বাদী হয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
মামলার পর শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আটকে রাখা হয়েছে।
রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশিদের বরাতে দৈনিক প্রথক আলোর অনলাইন ভার্সন প্রথমআলো.কম-এ বলা হয়েছে দায়ের করা ওই মামলায় রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ব্রিটিশ শাষণামলে জারি করা অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩ এ আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ স্থানে যদি কেউ যায় বা যেতে উদ্যত হয় কিংবা ওই স্থানের কোনো নকশা বা স্কেচ তৈরি করে বা কোনো গোপন তথ্য সংগ্রহ বা প্রকাশ করে তবে সে অপরাধী হবে। ৩ (ক) ধারায় বলা হয়েছে যে, নিষিদ্ধ স্থানের কোনো ফটো, স্কেচ বা নক্সা কেউ প্রকাশ করতে পারবে না। এই আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনো ব্যক্তি গোপনে কোনো সংবাদ পেয়ে থাকলে সেই সংবাদ প্রকাশ করতে পারবে না। কোনো সংবাদপত্র যদি কোনো গোপন সংবাদ প্রকাশ করে তবে প্রতিবেদক, সম্পাদক, মুদ্রাকর এবং প্রকাশক অপরাধী হবেন। এসব কাজে সহায়তা করা অপরাধ বলে গণ্য হবে।
দন্ডবিধি আইনটি প্রণীত হয় ১৮৬০ সালে। ফৌজদারী অপরাধ সংক্রান্তীয় দণ্ড দান করার জন্য এটিই প্রধান আইন। এই আইনের ৩৮৯ ধারাটি তোলাবাজি সংক্রান্ত এবং ৪১১ ধারাটি চুরির সম্পত্তি গ্রহণ করা সংক্রান্ত।